পড়ে পাপিদের অংশিদার হবেন না!
- কারা শোষক?
- Feb 14, 2017
- 2 min read
-তিনশ থেকে সাড়ে তিনশ মানুষের কাছে বাংলাদেশের অর্ধেক সম্পত্তি আর একশ মানুষের কাছে পৃথিবীর অর্ধেক সম্পত্তি।
-পথশিশুটি গাড়ির জানালায় দৌড়িয়ে যখন ফুল বিক্রী করতে যায় তখন ভাবি ধনীলোকরা ফুলের গন্ধ পেলে গরীবরা ভাতের গন্ধ পায়।
-লক্ষ লক্ষ টাকার ফুল যখন শহীদ মিনারে নষ্ট হয় ততক্ষনেও বিশ্বে ৬জন শিশু না খেয়ে মারা যাচ্ছে।
-ঢোলের আওয়াজে মহিষের সাথে নাচতে নাচতে যখন বাবার দরবারে মহিষ নাজরানা দিচ্ছি আড়ালে দাড়িয়ে মানুষটি ভাবছিল এটিই মেয়ের বিয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল। টাকার অভাবে যে মেয়েটির বুকের উড়না গলায় পেচিয়ে মরার দুঃস্বাহস দেখিয়েছে। বাবাজান হুজুর কিবলা যে মেয়েটির জানাজা না পড়ার নির্দেশনা বাতলিয়ে ঘৃণিত কাপন দাপনের ব্যবস্থা করার তাগিত দিয়েছেন। আর নাজরানা মহিষ ভোঁজ হয় রাজকীয়। বাকী মহিষ হয় ঢাকা চট্টগ্রামে ফ্লাট, গাড়ি বিলাসিতার বলি।
-হাজার টাকা ফিস দিয়ে চশমার ফাঁকে অগোচালো প্রেসক্রিপশন মহিলাটি না পেয়ে যখন হাসপাতালের বারান্দায় দাড়িয়ে স্বামীর মৃত্যুর আভাস অনুভব করেন ঠিক তখনও মরা মানুষের চিকিৎসা বানিজ্যে কিভাবে স্ত্রীর জন্য আরেকটি গহনা বানানোর চিন্তা থাকে। একবারও কি কোন ডাক্তার দেখেছে তার স্ত্রীর গহনায় কত রক্ত জমাট বেঁধে আছে?
-পুরুষগুলো যখন মেয়েটিকে একজনের পর একজন ধর্ষন করছে তখনও তারা মেয়েটিকে নিয়েছে যন্ত্র হিসেবে। টাকার লোকাল গাড়ি। পতিতাতো। যখন মেয়েটির সহ্যের সিমা অতিক্রম করে তখনও পুরুষগুলোর উম্মাদনা বাড়িয়ে উপভোগি হয়। এখানে দুটি স্বত্বা দেখি আমি। একটি জানোয়ার আরেকটি মানুষ। উষ্ঠাগত প্রাণ নিয়ে যখন চাল কিনে রান্না করতে যায় আর পড়ার টেবিলে ছেলে মেয়েগুলো তাকে দেখে বলে এইতো আমার পৃথিবীর শ্রেষ্ট আম্মু। মায়ের একদিকে অসহ্য বেদনা আর চোখের পানিতে তখনও মেনে নিতে হয় জীবণকে। আবারো শুরু হয় রোজ রাতে হাতে হাতে বদলানো। তার অভিশাপগুলোতেই শুরু হয় নতুন সকাল।
-বড় আপু হিমু রুপা বলতেন-রাস্তার পাশে টকটকে লাল লিপস্টিক লাগিয়ে বিচিত্র ভাবে অঙ্গভঙ্গি করা মেয়েটাকে কে দেখে যখন আপনি পরিশুদ্ধ বিশুদ্ধ ভাব নিয়ে বলেন "মাগীতে দেশ ভরে গেছে "তখন আমি অবিশুদ্ধ নোংরা মস্কিকে ভাবি, "আজ নিশ্চয়ই তার কলিজার টুকরো বাবুটা সারাদিনের উপোস " আমরা পতিতা তৈরি করে পতিতাদের গালি দেই। বেওয়ারিশ জন্ম দিয়ে এদের জারজ বলে ডাকি। কতো খাবার ডাস্টবিনে ফেলি, আবার সেই খাবার কাউকে খেতে দেখলে ঘেন্নায় মরে যাই। পাপ করতে গায়ে লাগে না আমাদের, কিন্তু পাপীকে মমতা আর স্নেহ দিয়ে ছুঁয়ে দিতে বড্ড বেশি গায়ে লাগে।
-আজ বড্ড হাতের ছয় নং আঙ্গুলটি লিখতে বসেছিল। মাথায় পোঁকার আড়ত হয়ে উঠেছে ভেবে থামিয়ে দেই। যাইহোক লেখাটি পড়ে আপনিও পাপের ভাগ নিলেন। তবে আসল পাপিতো নিষ্পাপরা। যারা হুজুর কিবলাকে নাজরানা দিয়ে পাপকে মাপ করিয়ে নেন। আল্লাহপাক ক্ষমা প্রার্থনাকারীকে বেহেস্ত দেন। অভিশাপগুলো শুধুই অবহেলিত মানুষগুলোর।
-আরিফ ২৫ ফেব্রুয়ারী/১৭
Comments