বাস্তব শিক্ষাই যখন অবাস্তব
- https://web.facebook.com/arif.rangamati.betbunia/p
- Jun 28, 2017
- 2 min read
-বাংলা ছায়াছবিতে নায়ক কলেজে মারামারি করে সুন্দরী মেয়েটির মন জয় করার জন্যে। সেটা ছেলেরা শিখে; আর যখন বাস্তবে মারামারি করে তখন সে গুন্ডা। সাধারণত আমরা নায়কের পক্ষেই থাকি। আর এমন সিনেমা কমই আছে যে সিনেমায় নায়ক মারামারি করেনা। গুলি চালায়না। আর এটি যখন বাস্তব জিবনে প্রয়োগ হয় তখন সে সন্ত্রাস। মুভি গুলো তৈরী করতে প্রশাসন অনুমতি দেয় আর সেটা বাস্তব জিবনে প্রভাব পড়লে সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিতি পায়। আবার জেলেও যেতে হয়। এটাই আজব খেলা।
-হিন্দি মুভিতে যখন সেক্সুয়াল এক্টগুলো খুব রুচি দিয়ে প্রদর্শিত হয়। যখন সানি লিওনের মতো পতিতাদের মুভি অনুমোদন দিয়ে তাকে জানার আগ্রহ বাড়িয়ে দেয়। তখনও সরকার ইভটিজিং ও ধর্ষনের বিচার নিয়ে ব্যস্ত। পর্নসাইট বন্ধ করলে এখন কারো আপত্তি নেই। হিন্দি মুভিতেতো খুব রসালোভাবে পর্ন প্রদর্শন হয়। বাকিটা না হয় মোবাইল জানে। Mtv. Fox life. TLC. AXN. চ্যানেলগুলোতে রীতিমতো সেক্সুয়াল চ্যানেল হিসেবে জনপ্রিয়। এসব থেকে শিক্ষা নিচ্ছে আর সমাজে প্রভাব পড়ছে। অপরাধ বাড়লে জেল। এটাই আজব খেলা।
-স্কুল ছেলেমেয়েদের হাতে এখন যথেষ্ট এন্ড্রয়েড ফোন রয়েছে। এসব মুভি কিংবা আলোচিত সানি লিওন সম্পর্কে জানার তাদের আগ্রহ হয়ে উঠে। আর্ট মুভির খোলামেলা সিনগুলি দেখে আগ্রহ বশত হয়ে যাবে নিমিষেই। হাত বাড়ালেই পর্ণ পাওয়া যায় যখন ছেলেমেয়েরা এসব উপভোগ করে নিমিষেই উত্তেজিত হতে বাধ্য হচ্ছে। অজানাকে জানার আগ্রহ খুব বেড়ে যায়। অহরহ মেয়ে তার সতিত্ব হারাচ্ছে। ধর্ষিতও হচ্ছে। সামান্য আগ্রহতে না বুঝে উভয়ের ভুল বশত বড় ধরণের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। প্রভাবটা গিয়ে পড়ে সংসার জিবনে। যখন স্বামী স্ত্রী প্রথম রাতেই ভূলবুঝাবুঝির সম্মুখিন হয়। চলে সত্যমিথ্যার খেলা। এটাই আজব খেলা।
-টিভি সিরিয়ালগুলোতে আসুন। আগেরকার বৌ-য়েরা পরকিয়া কি সেটা নাম শুনেছিল। সাহস বলে কিছুই ছিলনা পরকিয়ায় জড়ানোর। সিরিয়াল গুলোতে নিয়মিত পরকিয়ায় জড়ানোকে সহজ করা হয়েছে। সংসার ভাঙ্গানোর নিয়ম সোজা করা হয়েছে। একটি মেয়ে কিভাবে একাধিক ছেলের সাথে প্রেম করবে বা একাধিক মেয়ে কিভাবে একটি ছেলের সাথে সম্পর্ক করবে সেটা নিখুঁত ভাবে শেখানো হচ্ছে টিভি সিরিয়ালে। তুচ্ছ ব্যপারগুলো কিভাবে বড় করে ভয়াবহ রূপ নিয়ে সংসারে আগুন জ্বালানো যায় সেটা শেখা যায়। আরো শেখা যায় কিভাবে বড় বড় রেস্টুরেন্ট, নামি দামি পোষাক ও অভিজাত্যের প্রতি মেয়েদের মোহ বাড়িয়ে দিয়ে পুরুষদের হাফিয়ে তোলা যায়। বিভিন্ন ধরনের অশান্তির খেলা শেখানো হয় কিন্তু সরকার কোন পদক্ষেপ নেয়না। বরং তখন অনুমোদনটা আরো শক্ত করা হয়। এটাই আজব খেলা।
-ইংলিশ মুভিতে খুব এনামিশন মিশ্রণ হওয়ায় সবাই একটু আগ্রহ নিয়ে দেখতে চায়। ফ্যামিলিতে যখন ইংলিশ মুভি দেখি তখন কুকুরের অভ্যাসের কথা মনে পড়ে যায়। স্কুলে জাতীয় সংগীত পড়ার সময় কুত্তাগুলা যা করলো। তাই কুত্তা আর ওদের মাঝে পার্থক্য খুঁজে পাইনা বলে চ্যানেলগুলা এড়িয়ে যেতে হয়।
-কার্টুন চ্যানেলে যখন সাইকেল নিয়ে শিবা নামে ছেলেটি যুদ্ধ বিমান আক্রমন করে তখনও কত শিশুকে বাবা মা সাইকেল কিনে দিতে বাধ্য হয়। আর বিমান আক্রমন করতে গিয়ে মারা যায়। আহত হয়। আর বড়দেরকেও অসম্মান করতে চায়। গায়ের উপর সাইকেল চালায়। কিন্তু খেলাটা শেখায় ছোট হতে কার্টুন দিয়ে। এটাই আজব খেলা।
-যে কাজ আমাদের শেখানো হয় সেটা আমরা বাস্তবে যদি করি তবে অপরাধী। উন্নত রাষ্টগুলোতে সেটাই শিক্ষা দেয় যেটা সে বাস্তবে প্রয়োগ করতে পারবে। বাঙ্গালিকে নাকি দমিয়ে রাখা যায়না। কিন্তু খুব সুকৌসলে বাঙ্গালিকে দমিয়ে রাখা হয়েছে। উন্নয়ন হবে কিভাবে সরকারকে যদি পাবলিক পালতে হয়? পালতেতো হবেই যদি বসিয়ে রেখে টিভিগুলোর মাধ্যমে ব্রেইন ওয়াশ করা হয়? আমাদের সচেতন হওয়া জরুরী। এসব আমার সম্পুর্ণ নিজস্ব ধারণা। টিভি দেখতে গিয়ে এ লেখাটি লিখতে ইচ্ছে হলো। আশা করি আমাদের শুভবুদ্ধি উদয় হবে।
আরিফ সন্ধ্যা:২৯জুন-২০১৭
Comments