ক্ষমা করো পাহাড়
- রাঙ্গামাটিতে দুর্যোগ
- Jun 16, 2017
- 1 min read
পাহাড় আমাকে যতটা কাছে টানে ততটা দূরে ঠ্যলে দেয়; আলিজা আপনার কথাটা খুব মনে পড়ছে। প্রকৃতির ইতিহাসে এবার রাঙ্গামািটবাসির জন্য এটি প্রাকৃতিক সর্বসেরা রাগান্বিত বৃষ্টি আইন। এতটা ঘৃনা জন্মেছিল রাঙ্গামাটির প্রতি আমরা বুঝতে পারিনি। হয়তো আমরা একজন আরেকজনকে বুঝতে পারিনা সেটা সাময়িক মান অভিমানের ছল। কারণ অনেকে অন্ধকারে আলোর কথা বলেনা কিন্তু আমাদের বিশ্বাস আলো আসবেই!
-ঘুম থেকে একটু জাগতেও দাওনি। বুঝে উঠার আগেই নির্মমভাবে হত্যা করেছো তোমার মাটির বুকে জড়িয়ে। আর খালি করেছো মায়ের বুক। অবলা নারী থেকে প্রিয়তম স্বামীটাকেও তুমি ছাড়োনি। তোমার অতন্ত্র প্রহরীকেও ছাড়োনি। যারা তোমার মাটি বাঁচাতে গাদ্দার। শুনেছি এক সেনা সৈনিক তার বাড়িতে সদ্য ফুটফুটে বৌকে দ্বিতীয়বার আদর আহ্লাদে বলতে পারেনি ভালোবাসি। এতটা নিষ্টুর হয়েছো তুমি। পাহাড় ভেঙ্গে সাহায্য পৌচানোর রাস্তাটাও বন্ধ করে দিয়েছো। সব কেড়ে নিয়ে হরতাল অবরোধে বন্ধ করে দিয়েছো মহাসড়ক। তোমার আত্মায় করুনারা মারা গিয়েছে। তুমি ভাবছো আমাদের রক্তে তোমার প্রতি একটুও ঘৃণা বর্ষন হয়নি?
-আমরা রাঙ্গামাটিকে ভালোবাসি। আমরা একে অন্যকেও প্রচুর ভালোবাসি। তুমিকি দেখনি কিভাবে অকে অন্যে প্রাণের বাজিতে প্রাণ বাঁচাতে এগিয়ে এসেছে? আমরা প্রতিপক্ষ নই। আমাদের উদ্যম সাহস সতন্ত্র। প্রাণের শহরকে আমরা আবার জাগিয়ে তুলব উচ্ছাসে। ভেবোনা ভয় পেয়ে পিচু নিব।
-প্রিয় পাহাড়ী বাঙ্গালী শহীদ ভাইবোনেরা! জানি; তোমরা ওপারে আমাদের চেয়েও ভালো আছো। তোমাদের এভাবে চলে যাবার কথা ছিলনা। আমরা ব্যথিত। দুফোটা অভিমান জমে গেছে। না; প্রচুর। প্রকৃতির সাথে প্রচুর মোকাবেলা করেছি। এতটা বাঁধা হয়ে দাড়াবে বুঝে উঠতে পারিনি। কথা দিলাম এভাবে আর কোন তাঁজা প্রাণ কেড়ে নিতে দিবনা। আমরা পাহাড়ী বাঙ্গালী এক হয়ে প্রকৃতির বিপক্ষে লড়ে যাব। তোমাদের শহরকে গড়ে তুলব শান্তির শহর এবং অসম্ভব রূপের রানী হিসেবে। ক্ষমা করে দিও।
ইতি সালাহ উদ্দীন মাহমুদ আরিফ। 15 june 17
Comments